Khoborerchokh logo

আসন্ন ইউ.পি নির্বাচনে মুক্তাগাছার সৎ,যোগ্য,অহিংসু,আওয়ামী রাজনীতির অবিচ্ছেদ্য নেতা কামাল হোসেন,নৌকা প্রতীক প্রত্যাশী 625 0

Khoborerchokh logo

আসন্ন ইউ.পি নির্বাচনে মুক্তাগাছার সৎ,যোগ্য,অহিংসু,আওয়ামী রাজনীতির অবিচ্ছেদ্য নেতা কামাল হোসেন,নৌকা প্রতীক প্রত্যাশী

আলমগীর কবীর:

স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের তৃতীয় ধাপে ১০০৭ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করেছে সংশ্লিষ্ঠ কতৃপক্ষ ।ইতিহাস ঐতিহ্যখ্যাত ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলা ।আসন্ন মুক্তাগাছা উপজেলার ১০ নং খেরুয়াজানী ইউনিয়ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের প্রচার প্রচারণায় নেমে গেছেন সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।সারাদেশের ন্যায় সরব হয়ে উঠেছে মুক্তাগাছা উপজেলার ১০ নং খেরুয়াজানী ইউনিয়নবাসী।অত্র এলাকার হাট-বাজার,অলি গলিতে,চায়ের দোকানে নির্বাচনের আমেজে মূখরিত ।পছন্দের সম্ভব্য প্রার্থীদের সাথে নিয়ে চলছে সকাল সন্ধ্যায় জনসংযোগ । স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের ইউ.পি নির্বাচনে অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় এবার সৎ যোগ্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ বেশি পরিলক্ষিত ।১০নং খেরুয়াজানী ইউনিয়নের ভোটাররা এই প্রতিবেদককে জানান,যিনি সৎ,যোগ্য,যার দ্বারা আমাদের এলাকা সন্ত্রাস,মাদকমুক্ত এবং টেকসই উন্নয়ন হবে,তাকেই নির্বাচিত করবো ।আমরা চাই একজন ভাল অভিভাবক,যার মাধ্যমে এলাকার মানুষ উপকৃত হবেন ।১০নং খেরুয়াজানী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী                    মো: মনিরুজ্জামান কামাল নৌকা প্রতীক প্রত্যাশীদের মধ্যে একজন জানান,আমি
পারিবারিকভাবেই অনেক আগে থেকেই আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। তার নানা নকলা উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক,ডাক্তার নাদেরুজ্জামান । তিনি আওয়ামীলীগ থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য ছিলেন।আমার মা আক্তার খানম (মৃত) ছিলেন,মুক্তাগাছা উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী। বাবা আব্দুল খালেক সরকারী চাকুরিজীবী থেকেও একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন সহযোদ্ধা হিসেবে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নানাভাবে সহযোগীতা করাসহ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
আমি নিজে,মুক্তাগাছা শহীদ স্মৃতি সরকারী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক,শহীদ স্মৃতি কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে সদস্য প্রার্থী,মুক্তাগাছা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক,উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্যসহ আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন দায়িত্ব দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি।দলের প্রয়োজনে,দেশের স্বার্থ রক্ষায় প্রতিটি আন্দোলনে সক্রিয় অংশ গ্রহন করেছি । ,দেশনেত্রী,আওয়ামীলীগের কান্ডারী,উন্নয়নের রোল মডেল,বাংলাদেশের
স্থপতি,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু‘র কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,আমাকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করার সুযোগ দিলে শতভাগ নিশ্চিত করে বলতে পারি বিজয়ী আমি হবোই ।১০ নং খেরুয়াজানী ইউনিয়ন,মুক্তাগাছা উপজেলা,ময়মনসিংহ জেলার মানুষ আমার পারিবারিক,রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে অবগত ।
স্বাধীনতার পূর্বের এবং পরের সংক্ষিপ্ত পরিচয় নিম্নে তুলে ধরলাম :
ব্যক্তি পরিচয়:
মো: মনিরুজ্জামান কামাল,পিতা: মো; আব্দুল খালেক,মাতা: সাঈদা আক্তার খানম,ময়মনসিংহ জেলা, মুক্তাগাছা উপজেলার ১০ নং খেরুয়াজানী ইউনিয়নে খিলগাতি গ্রামে ১ ফেব্রুয়ারী ১৯৭৪ সালে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন । মো; আব্দুল খালেক ও সাঈদা আক্তার খানম এর ৬ সস্তানের মধ্যে জেষ্ঠ্য পুত্র ।
রাজনৈতিক পরিচয় :
মোঃ মনিরুজ্জামান কামাল,রাজনীতি - ছাত্রজীবনে ১৯৮৬ সালে গৌড়দ্বার হাই স্কুলে ছাত্র নেতা,ছাত্রলীগ স্কুল শাখার সভাপতি।কলেজ- শহীদ স্মৃতি সরকারী কলেজ  ১৯৯২ সালে ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক ও ১৯৯১-১৯৯২ শিক্ষাবর্ষে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে প্রতিযোগিতা মুলক অংশ গ্রহণ।২০০৯ সালে ময়মনসিংহ, মুক্তাগাছা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন আহবায়ক হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছি। মুক্তাগাছা উপজেলা  বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এর  যুগ্ম আহবায়ক কমিটিতে  দায়িত্ব পালন করেছি। ৯০‘র এরশাদের শাসনামলে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে রাজপথের লড়াকু সৈনিক। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রহসনের নির্বাচন প্রতিহত করতে স্বক্রীয় নেতৃত্বে অংশ গ্রহণ।ওয়ান ইলেভেন পর্যন্ত সকল প্রকার বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারী।
পিতৃ পরিচয়ঃ-
মোঃ আব্দুল খালেক,১৯৬৯ সালে ফুলপুর উপজেলা বি,এ,ডি সি (সেচ) গুদামরক্ষক হিসেবে কর্ম জীবন শুরু করে এবং সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেন ।পরবর্তীতে নেত্রকোনা জেলার বিএডিসি (সেচ) উচ্চ গুদামরক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শেষ করেন । উল্লেখ্য  ১৯৭০ সালে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সার্বিক সহযোগিতা করার কারণে, তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান কর্তৃক নির্যাতনের স্বীকার হন ।
মাতৃ পরিচয়ঃ-
মরহুম সাঈদা আক্তার খানম, পিতা,ডা. নাদেরুজ্জামান খান :  নকলা- নালিতাবাড়ী শেরপুর -২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য  তৎকালীন সময়ে ডা: নাদেরুজ্জামান ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও সম্মুখ সারির মুক্তিযোদ্ধা।১৯৭১ সালে নকলা থানা আওয়ামীলীগের  প্রতিষ্ঠা সাধারণ সম্পাদক।মরহুম সাঈদা আক্তার খানম ১৯৯৬ - ২০০৩ ইং পর্যন্ত মুক্তাগাছা উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগ এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মহিলা আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত করতে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গেছেন। মুক্তাগাছা উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগ তাকে এখনো শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
উল্লেখ্য মো: মনিরুজ্জামান কামাল নকলা নালিতাবাড়ী শেরপুর -২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ডাঃ নাদেরুজ্জামান খান এর নাতি (দৌহিত্র) ।
এদিকে দলীয় মনোনয়ন পেলে এবার তার পক্ষে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়া সহজ হবে বলে মনে করছেন,এলাকার রাজনৈতিক সচেতন মহল।
খেরুয়াজানী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক আহবায়ক ফজলুল হক বিএসসি জানান,মনিরুজ্জামান কামাল ইতোমধ্যেই ইউনিয়নে নিজের একটি অবস্থান তৈরী করতে পেরেছেন। তিনি নৌকা প্রতীক পেলে দলীয় নেতাকর্মীরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে। তাকে মনোনয়ন দেওয়া হলে এবার নৌকার বিজয় সহজ হবে। ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা নুরুন নাসিম খান জানান, কামাল মূলত দলের ত্যাগী নেতা। তাকে নৌকা দেয়া হলে দলের জন্য ভাল হবে। ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক শরিফুল ইসলাম জানান, সবদিক বিবেচনায় দলের জন্য ত্যাগী মনিরুজ্জামান কামালকে এবার নৌকার মনোনয়ন দেয়া হলে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামীলীগের হাত ছাড়া হওয়া চেয়ারম্যানের এই পদটি আওয়ামীলীগের দখলে নেওয়া সহজ হবে। ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম খান জানান, এক সময়ের তুখোড় ছাত্রলীগ নেতা মনিরুজ্জামান কামাল নির্বাচন করার লক্ষ নিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে কাজ করছেন। তাকে মনোয়ন দেয়া হলে এই ইউনিয়নে এবার নৌকার বিজয় নিশ্চিত হবে।


সম্পাদকঃ আলমগীর কবীর, ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মনিরুজ্জামান। উপদেষ্টা সম্পাদক পরিষদঃ শাহিন বাবু । অস্থায়ী কার্যালয়ঃ নাওজোড়, বাসন, গাজীপুর মেট্রো পলিটন, গাজীপুর।
যোগাযোগঃ ০১৭১১৪২১৪৫১, ০১৯১১৮৮৯০৯৩, ই-মেইলঃ khoborersomoy24@gmail.com, web: www.khoborersomoy.com